মহাবিশ্বের বিস্ময় মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বিস্ময়কর কিছুতথ্য।
প্রঃপবিত্র কুরআনে মোট সূরা কতটি?
উঃ১১৪ টি।
প্রঃ পবিত্র কুরআনেরর প্রথম সূরার নাম কি?
উঃ ফাতিহা।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে বড় সূরা কোনটি?
উঃ সূরা বাকারা।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে ছোট সূরা কোনটি?
উঃ সূরা কাওছার।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি এবং কোন সূরায়?
উঃ সূরা বাকারার ২৮২নংআয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনেরর মধ্যে সবচেয়ে ফযিলত পূর্ণ আয়াত কোনটি?
উঃ আয়াতুল কুরশী।
প্রঃফরয নামাযের পর কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উঃ আয়াতুল কুরশী।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি পাঠ করলে, কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়?
উঃ সূরা মূলক।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান?
উঃ সূরা ইখলাস।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রতি ভালবাসা থাকলে, মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?
উঃ সূরা ইখলাস।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের চতুর্থাংশের সমপরিমাণ?
উঃ সূরা কাফিরূন।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি জুমআর দিন বিশেষ ভাবে পাঠ করা মুস্তাহাব?
উঃ সূরা কাহাফ।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রথমাংশ তিলাওয়াত কারীকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করবে?
উঃ সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু'টি সূরা জুমআর দিন ফজরের নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উঃ সূরা সাজদা ও দাহর।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু'টি সূরা জুমআর নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উঃ সূরা আ'লা ও গাশিয়া।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে কত বছরে নাযিল হয়?
উঃ তেইশ বছরে।
প্রঃ "মুহাম্মদ " সাঃ এর নামটি পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উঃ চার স্থানে। ১/সূরা আল ইমরান।(১১৪নংআয়াত) ২/সূরা আহযাব।(৪০নংআয়াত) ৩/সূরা মুহাম্মদ। ২নংআয়াত) ৪/ সূরা ফাতাহ্। (২৯নংআয়াত)।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?
উঃ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণরূপে নাযিল হয়? উঃ সূরা ফাতিহা।
প্রঃ পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কি ভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উঃ সাহাবায়ে
প্রঃ পবিত্র কোরআনের সৌন্দর্য হলো -
উঃ সূরা আর রাহমান।
উঃ১১৪ টি।
প্রঃ পবিত্র কুরআনেরর প্রথম সূরার নাম কি?
উঃ ফাতিহা।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে বড় সূরা কোনটি?
উঃ সূরা বাকারা।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে ছোট সূরা কোনটি?
উঃ সূরা কাওছার।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি এবং কোন সূরায়?
উঃ সূরা বাকারার ২৮২নংআয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনেরর মধ্যে সবচেয়ে ফযিলত পূর্ণ আয়াত কোনটি?
উঃ আয়াতুল কুরশী।
প্রঃফরয নামাযের পর কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উঃ আয়াতুল কুরশী।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি পাঠ করলে, কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়?
উঃ সূরা মূলক।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান?
উঃ সূরা ইখলাস।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রতি ভালবাসা থাকলে, মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?
উঃ সূরা ইখলাস।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের চতুর্থাংশের সমপরিমাণ?
উঃ সূরা কাফিরূন।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি জুমআর দিন বিশেষ ভাবে পাঠ করা মুস্তাহাব?
উঃ সূরা কাহাফ।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রথমাংশ তিলাওয়াত কারীকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করবে?
উঃ সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু'টি সূরা জুমআর দিন ফজরের নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উঃ সূরা সাজদা ও দাহর।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু'টি সূরা জুমআর নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উঃ সূরা আ'লা ও গাশিয়া।
প্রঃ পবিত্র কুরআনে কত বছরে নাযিল হয়?
উঃ তেইশ বছরে।
প্রঃ "মুহাম্মদ " সাঃ এর নামটি পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উঃ চার স্থানে। ১/সূরা আল ইমরান।(১১৪নংআয়াত) ২/সূরা আহযাব।(৪০নংআয়াত) ৩/সূরা মুহাম্মদ। ২নংআয়াত) ৪/ সূরা ফাতাহ্। (২৯নংআয়াত)।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?
উঃ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত।
প্রঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণরূপে নাযিল হয়? উঃ সূরা ফাতিহা।
প্রঃ পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কি ভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উঃ সাহাবায়ে
প্রঃ পবিত্র কোরআনের সৌন্দর্য হলো -
উঃ সূরা আর রাহমান।
মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর সূচনা
খুব বেশি দিনের কথা নয় যে মানুষ জানতে পেরেছে মহাবিশ্বের সূচনা এক মহাবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ঘটেছে। আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণ থেকে ফ্রিদমান সমীকরণ। তার পর বিশ্বতত্ত্ব নীতি এবং হোবল নীতি। সর্বশেষ ১৯৬০ সালে মহাজাগতিক অণুতরঙ্গের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিজ্ঞান যখন ক্লান্ত, তখন দেখা গেল আজ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ বছর আগেই বিশ্বস্রষ্টা তাঁর মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। ‘অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে সপ্তাকাশ ও পৃথিবী পুঞ্জীভূত হয়ে ছিল। অতঃপর আমি উভয়টি এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সূচনা করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৩০)
পৃথিবীর সৃষ্টি মহাকাশ সৃষ্টির আগে
মহাকাশ নাকি পৃথিবী? আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র, নাকি পৃথিবীর গাছপালা, কোনটি আগে সৃষ্টি হয়েছে? উত্তর খুঁজতে বেশি দূর যেতে হবে না। আপনার ঘরের পবিত্র কোরআন খণ্ডটি হাতে নিন। তাতে চোখ বুলালেই দেখতে পাবেন, ‘আপনি বলুন, সত্যিই কি তোমরা সেই মহাপ্রভুকে অস্বীকার করছ! যিনি পৃথিবীকে মাত্র দুদিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তার অংশীদার নির্ধারণ করছ? তিনি তো সমস্ত জগতের প্রতিপালক। যিনি পৃথিবীতে তার উপরাংশে পাহাড় স্থাপন করেছেন এবং জমিনের ভিতরাংশ বরকতপূর্ণ করেছেন আর ভূগর্ভে সুষমরূপে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করেছেন মাত্র চার দিনে। সব যাচনাকারীর জন্য সমানভাবে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন আর তা ছিল ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। (সুরা : ফুসিসলাত, আয়াত : ৯-১১) এখানে পর্যায়ক্রমে প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি এরপর ভূগর্ভস্থ বিষয়াবলির আলোচনার পর আসমানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পৃথিবীর পরিধি ক্রমে সংকীর্ণ হয়ে আসছে
পদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণামতে পৃথিবী তার সূচনালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পানির এক-চতুর্থাংশ পানি হারিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণামতে পৃথিবীর ভার বা ওজন (৫,৯৭২,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০) অর্থাৎ ৫ সেক্সটিলিয়ন ৯৭২ কুইন্টিলিয়ন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিবছর পৃথিবী তার মোট ওজন থেকে ৫০০ টন ভার হারাচ্ছে। এ ছাড়া অক্সিজেনের ভাগ প্রতিনিয়ত কমে আসাও হালের বিজ্ঞানীদের কাছে স্বীকৃত বিষয়। যা থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে পৃথিবীর পরিধি ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি দেখে না আমি ভূপৃষ্ঠের পরিধি ক্রমেই সংকুচিত করে আনছি, এর পরও কি তারাই বিজয়ী!’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৪৪)
পৃথিবী দ্রুতগতিতে ছুটছে!
পবিত্র কোরআনে পৃথিবী স্থির কিংবা সূর্যের পাশে ঘূর্ণমান কোনোটিই বলা হয়নি। বরং এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যা এসেছে তার সারকথা হলো, পৃথিবী আপন কক্ষপথে দ্রুতগতিতে সাঁতার কাটার মতো ঢেউ খেলে ছুটে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর চলন প্রকৃতি প্রধানত দুই ধরনের। প্রথমত, পৃথিবীর নিজস্ব ঘূর্ণায়ন যা ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মহান আল্লাহ যিনি আসমান জমিন যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং দিনকে রাতের ওপর এবং রাতকে দিনের ওপর আচ্ছাদিত করেন।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫) আর এ কথা শিরোধার্য, কোনো বৃত্ত আকৃতির জিনিসকে অনুরূপ অন্য কোনো জিনিস দ্বারা বারবার আচ্ছাদিত করার জন্য, তা ঘূর্ণমান হওয়ার বিকল্প নেই। দ্বিতীয়ত, সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর সন্তরণ। বহুকাল যাবৎ মানুষ এ ধারণা পোষণ করে আসছে যে পৃথিবী সূর্যের পাশে ঘূর্ণমান। তবে খুব সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর চলার ধরনটাকে ঘূর্ণন শব্দে ব্যাখ্যা করা যথাযথ নয়। বরং পৃথিবীসহ আরো অনেক গ্রহ উপগ্রহ সর্বদা সূর্যকে ঘিরে সাঁতার কাটার মতো ওপর-নিচ ঢেউ তুলে সম্মুখপানে অগ্রসর হচ্ছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবীর আলোচনা টেনে বলেন, প্রত্যেকেই আপন কক্ষপথে সন্তরণ করছে। (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৪০)
পৃথিবীর নিচে বিপুল পানির উৎস
টিউবওয়েল চেপে পানি তুলছেন কিংবা পাম্পের সাহায্যে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন ভূগর্ভের এই বিপুল পরিমাণ পানির উৎস কোথায়? তাহলে জেনে নিন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি আসমান থেকে পরিমাণমতো পানি বর্ষণ করি, অতঃপর তা ভূগর্ভে সংরক্ষণ করে রাখি।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১৮)
#Information: Collected.
মেগা পোস্টঃ ভুল ত্রুটি,ক্ষমাপ্রার্থী।


0 মন্তব্যসমূহ